মিথ্যাবাদী চেনার সহজ উপায় কি-
আজকাল সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করা বেশ কঠিন তাই না? বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু সত্য আর মিথ্যার পার্থক্য করতে পারেনা। আর পারেনা বলেই জীবনে বার বার প্রতারিত হয় মানুষ। সত্যি-মিথ্যার পার্থক্য করতে পারলে আপনার ‘লাই ডিটেকটর’ যন্ত্রের কোনো প্রয়োজন নেই।
বিশেষ কিছু লক্ষণ দেখলেই আপনি সনাক্ত করতে পারবেন মিথ্যা এবং মিথ্যাবাদী।
জেনে নেয়া যাক উপায় গুলো কি কি-
মিথ্যাবাদী চেনার ১০টি সহজ উপায়:
☞চোখের দিকে তাকাবে না
মিথ্যাবাদী কখনই আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যা বলতে পারবে না। চারপাশে তাকিয়ে কিংবা চোখ নাচিয়ে কথা বলবে মিথ্যাবাদী।
☞ মিথ্যাকে সত্য বানানোর প্রচেষ্টা
মিথ্যাবাদীরা সাধারণত বলার সময়ে না চাইতেও অনেক বেশি তথ্য দেবে। মিথ্যাকে সত্য বানানোর জন্য অনেক অপ্রয়োজনীয় তথ্য বলবে যা আপনি জিজ্ঞেসও করেন নি।
আরো পডুনঃ অন্যের সমালোচনা যেভাবে নিজের কাজে লাগাবেন
☞ বাহ্যিক পরিবর্তন
মিথ্যা বলার সময় মিথ্যাবাদীরা বেশিরভাগ সময়েই বেশ কিছুটা ঘামে। মুখে হাসি কম থাকে, REM (Rapid Eye Movement) হয় চোখের পাতা বারবার পড়ে, গলার স্বর নেমে যায়... আরো নানা রকমের পরিবর্তন দেখা যায়।
☞ পরিবর্তনশীল বক্তব্য
মিথ্যা কখনই এক রকম থাকে না। যতবার বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হোক ততবারই সেটা পরিবর্তিত হয়ে যাবে। একেকবার একেকরকম ভাবে মিথ্যাটি উপস্থাপিত হবে।
☞ বিস্তারিত বলতে অনীহা
মিথ্যাবাদীরা কখনই ঘটনার গভীরে যেতে চায় না বা যেতে পারেনা। ঘটনার গভীরে যাওয়ার কথা বললে তারা সব কথা তারা এলোমেলো কর।
☞ অস্থিরতার ছাপ
মিথ্যা বলার সময় সাধারণত মিথ্যুকরা হাত, মাথা কিংবা কিছুক্ষণ পরপর নাক চুলকাতে থাকে।
☞ বিষয় পাল্টানো
মিথ্যাবাদী তার কথার বিষয়বস্তু খুব দ্রুত বদলে ফেলার চেষ্টা করে। কোনো রকমে তারা মিথ্যাটা বলেই কথা ঘুরানোর চেষ্টা করে।
☞ মুখ শক্ত হওয়া
মিথ্যা বলার সময় মুখের মাংসপেশি শিথিল না থেকে শক্ত হয়ে থাকবে। আর মুখে কিছুটা দুশ্চিন্তার ছাপ পড়বে।
☞ কথা সত্যতা যাচাইয়ে বাধা
মিথ্যাবাদীকে কথার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করলে খুব সহজেই সে ক্ষেপে যাবে সে।
☞ নিরাপদ দূরত্ব বজায়
মিথ্যা বলার সময় সাধারণত মিথ্যাবাদী আপনার থেকে একটু দূরে দূরে থাকবে। মিথ্যাবাদীরা চেষ্টা করে ফোনে কথা বলার সময় অথবা ম্যাসেজ লিখে মিথ্যা বলতে। কারণ এই পদ্ধতিতে সরাসরি কারো সম্মুখীন হতে হয়না।
মিথ্যা সকল পাপের মূল। আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি জঘন্য অপরাধ। সব সময় সত্যি বলার অভ্যাস করা উচিত। জীবন হবে সহজ ও সুন্দর।
