Grab4Learn v2.1 is now available on Android
Min: android 4.4+ | Max: android 11
Download

১৫+ টি সাইকোলজি ট্রিক্স | স্মার্টনেস এর ১৫+ টি কৌশল

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link
Congrats! Link has Generated
স্মার্টনেস এর ১৫+ টি উপায়

স্মার্টনেস

নিজের ব্যক্তিত্বের মধ্যে স্মার্টনেস দেখাতে কে না চায়? স্মার্ট মানুষদেরকে সবাই-ই পছন্দ করে। স্মার্ট মানে এই না যে নিজের বাহ্যিক দিকটা ফুটিয়ে তোলা বা জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক পরা ইত্যাদি ইত্যাদি। 
স্মার্টনেস মানে হলো নিজের আচরন, কথাবার্তায় এমন এক প্রকার কৌশল অবলম্বন করা যাতে পারিপার্শ্বিক ও নিজের ব্যক্তিত্বের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পায়। 

মনস্তাত্ত্বিকভাবে স্মার্টনেসের দারুন কিছু কৌশল আছে। এই কৌশলগুলো অবলম্বন করলে নিজেকে অন্যের সামনে স্মার্টভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন সহজেই।
জেনে নিন স্মার্টনেসের দারুন কিছু কৌশল সম্পর্কে।

প্রশংসা করুন বেশি বেশি

কোনো মানুষকে সন্তুষ্ট করার সবচেয়ে সহজ রাস্তা হল সেই মানুষটির প্রশংসা করা। তবে প্রশংসা যেন কৌতুক মিশ্রিত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

রাগ দেখালেন তো হেরে গেলেন

আপনার উপরে কেউ রাগ করেছে? কোনো কথা বাড়াবেন না আর। একদম চুপচাপ থাকুন। এরফলে সেই ব্যক্তি আরও রেগে যাবে ঠিকই, কিন্তু কিছুক্ষণ পর সে নিজেই খুব লজ্জা পাবে।

মানুষ সৌন্দর্য্যের পূজারি

একজন মানুষকে তখনই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লাগে যখন সে তার নিজের প্যাশন বা নিজের ভালো লাগার বিষয়ে বলতে থাকে। আর কোনো মানুষের আসল সৌন্দর্য দেখার এটাই হল শ্রেষ্ঠ সময়। 

মানুষ অনুকরণপ্রিয়

যদি মনে হয় কেউ আপনার দিকে দেখছে, তাহলে আপনি আশেপাশের দেওয়ালে লাগানো ঘড়ি বা আপনার হাত ঘড়িটির দিকে যদি তাকান। আপনি দেখবেন যে সেই ব্যক্তিটিও সেই দেওয়াল ঘড়িটির দিকে দেখছে অথবা তার হাতঘড়ির দিকে দেখছে। 

সাহায্যের বিনিময়ে সাহায্য

কেউ আপনার কাছে সাহায্য চাইলে তাকে যথাসাধ্য সাহায্য করুন। এরফলে সেই ব্যক্তি আপনার উপর ভরসা বাড়াবে এবং পরবর্তীতে আপনাকেও সে সাহায্য করার রাস্তা খুজবে। যার ফলে আখেরে লাভ কিন্তু আপনারই। তবে স্থান-কাল-পাত্র বুঝেই সাহায্য করুন।

ভণিতা করা যাবে না

আপনাকে কেউ কিছু প্রশ্ন করছে, অথচ আপনি কিছুই বুঝতে পারলেন না। তাহলে আপনি এক কাজ করুন, আপনি কোনো কথা না বলে তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত তার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত। এরফলে সেই ব্যক্তি আপনাকে সেই প্রশ্নটি আরও বিস্তারিত ভাবে বলবে অথবা সেটি এড়িয়ে যাবে।

মন ভোলানো যখন কাজে দেয়

রাস্তায় কয়েকজন বা দুইজন একসাথে চলছেন কিন্তু আপনার কাছে থাকা ব্যাগটা তাদের কিছু সময়ের জন্য ধরতে বলবেন অথচ বলতে পারছেন না। কারণ যদি ব্যাগ ধরতে না চায়! তাহলে গল্প শুরু করুন। গল্প বলতে বলতে আপনার ব্যাগ কোনো কথা না বলে তাদের হাতে দিয়ে দিন। দেখবেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারাও কোনো কথা না বলে আপনার ব্যাগটি ধরে নিবে।

লাই-ডিটেকশন!

কেউ কথা বলার সময় সত্য বলছে কি না মিথ্যে তা যাচাই করার জন্য আপনাকে সেই বক্তার হাতের দিকে নজর দিতে হবে। যদি দেখেন যে কথা বলার সময় সে তার হাত অনেক নাড়াচ্ছে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে সে যা বলছে তা সত্য বা অনেকটাই সত্য। কিন্তু যদি দেখেন সে হাত নাড়াচ্ছে না তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে সে যা বলছে তা মিথ্যে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আরো দেখুন:

মনোযোগ আকর্ষণ করুন

অনেক সময় দেখা যায়, কোনো মিটিং বা কয়েকজন বন্ধু মিলে যখন গল্প করছেন তখন আপনার দিকে বক্তা কিছুতেই দেখছে না। অথচ আপনি চান বক্তা আপনার দিকে দেখুক। এরজন্য আপনি যে সাইকোলজি ট্রিকটি অনুসরণ করবেন সেটি অনেকটা এরকম- আপনি বক্তার কথার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাথা নাড়ান, দেখবেন কিছুক্ষণ পর বক্তা আপনার দিকেই দেখবে। কারণ বক্তা ভাববে আপনি তার কথা একদম গুরুত্ব সহকারে শুনছেন।

অফলাইনে পরিচিতি বাড়ান

সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক আর লাভ রিয়েক্টের আশায় নিজের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করবেন না। এর পরিবর্তে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের মন জয় করতে শিখুন। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ার লাভ রিয়েক্ট আপনার জীবনের খারাপ মুহূর্তগুলিতে বিন্দু মাত্র সাহায্য করবে না। যা আপনার জীবনে সাহায্য করবে তা হল আপনার ফ্যামিলির দেওয়া ভালোবাসা। তাই ফ্যামিলির সদস্যদের মন জয় করতে শিখুন।

প্রিয় মানুষকে খুঁজে নিন!

কেউ আপনাকে পছন্দ করে কিনা জানতে চান, তাহলে আপনাকে একটি জিনিস লক্ষ্য করতে হবে। যখন কয়েকজন একসাথে থাকবে তখন যদি কোনো কারণে সবাই একসাথে হাসে সেইসময় আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে কে হাসতে-হাসতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য হলেও আপনার দিকে দেখছে। যে ব্যক্তি আপনাকে দেখছে সে আসলে আপনাকে অনেকটাই পছন্দ করে। 

বিরক্তিকর পরিবেশ এড়িয়ে চলুন

কেউ আপনার সাথে কথা বলেই যাচ্ছে অথচ থামার কোনো লক্ষণ নেই। কিন্তু আপনি আর তার কথা শুনতে চান না, তাহলে এক কাজ করুন। আপনার হাতে কলম,পেন্সিল, চাবি বা কাছে যা আছে তা মাটিতে ফেলে দিন। এরপর ঝুঁকে সেটিকে তুলে নিন। দেখবেন কিছুক্ষণের জন্য সেই ব্যক্তি থেমে যাবে। এরপর সে আর আগের মত কথা বলার পরিস্থিতিতে থাকবে না। তার কথা অনেকটা ছোট হয়ে যাবে।

আয়নার মানুষটি হোক কথা বলার সঙ্গী

অনেক মানুষের সামনে কথা বলতে গেলে কথা আটকে যায়? অথচ আপনি সেই আলোচ্য বিষয়ে খুব ভালো জানেন, কিন্তু বলতে পারছেন না? তাহলে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে প্রতিদিন কিছুটা সময় নতুন নতুন কোনো লেখা পড়ার দিকে দিতে হবে। তারপর নিজের মন থেকে গল্প বা কবিতা অথবা সৃজনশীল কিছু লেখার চেষ্টা করুন এরফলে আপনার শব্দের ভান্ডার সমৃদ্ধ হবে আর অনর্গল কথা বলার জন্য আপনাকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা প্র্যাকটিস করতে হবে। কিছুদিন প্র্যাকটিস করুন, পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারবেন। 

পাল্টা জবাব দিন

এরকম অনেক মানুষ আছেন যারা আপনার ড্রেস বা জুতো বা ঘড়ি দেখেই সেগুলির সম্পর্কে জানতে চান। কিন্তু আপনি সেগুলোর ব্যাপারে বিশেষ মত প্রকাশ করতে চাননা। এক্ষেত্রে আপনি Divert Psychology Trick ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে এরকম প্রশ্ন কেউ করলে আপনি উল্টে তাকে বলুন “বাহ! তোমার ঘড়ি টা তো দারুন”, অথবা “এই ড্রেসে তোমাকে দারুন লাগছে”, বা "তোমাকে আজ অনেক কিউট লাগছে” ইত্যাদি। এরফলে দেখবেন সেই ব্যক্তিটি নিজের প্রশংসা শুনে আপনাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা প্রশ্ন গুলি নিমেষেই ভুলে যাবে। 

দর কষাকষিতে আনুন স্মার্টনেস

বাজারে গিয়ে জিনিসপত্রের দর কষাকষি করছেন? এখানে আমরা বেশিরভাগ মানুষই বিশেষ ভুল করে ফেলি। আমরা সরাসরি দোকানদারকে বলে ফেলি "আরেকটু দাম কমান না"। কিন্তু এখানেই আমরা ভুল করে বসি। আমরা এখানে একটি নেতিবাচক শব্দ ‘না’ ব্যবহার করে ফেলি আর মানুষ এই শব্দ শুনতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে  না। যার ফলে দোকানী সরাসরি বলে দেয় "না আর কমানো যাবে না"। কিন্তু এর পরিবর্তে আপনি যদি বলেন- "আপনি আরেকটু কমাতে পারবেন?" অথবা “আমি আশা করছি আপনি হয়ত আরেকটু কমাবেন।“ আর গলার স্বর হবে একটু কোমল। যার ফলে সেই দোকানীর মনে একটি ইতিবাচক সাড়া পড়বে। অর্থাৎ মুখে সবসময় পজিটিভ ভাব রাখার চেষ্টা করুন। 

সারপ্রাইজে আনুন বৈচিত্র‍্যতা

কোনো মানুষকে গিফট দেওয়ার সময় আমরা প্রথমেই তাকে বলে ফেলি যে, "আমি তোমার জন্য একটি বিশেষ গিফট নিয়ে এসেছি।" কিন্তু পরবর্তীতে যখন সে গিফট টি দেখে তখন সে আর সেরকম সন্তুষ্ট হয়না। কারণ আপনি আগেই তাকে বলে ফেলেছেন আপনি তার জন্য একটি বিশেষ গিফট নিয়ে এসেছেন। তাই তার মন আগে থেকেই বড় কিছু পাওয়ার আশায় প্রস্তুত হয়ে থাকছে। তাই সে আর বিশেষ খুশি হয়না। কিন্তু এর পরিবর্তে আপনি যদি বলেন, "আমি তোমার জন্য একটি অতি সাধারণ গিফট নিয়ে এসেছি।" কিন্তু পরে যখন আপনি তাকে গিফট দিবেন, দেখবেন সে গিফট দেখে অনেক খুশি হবে। কারণ আপনি তাকে বলেছেন অতি সাধারণ গিফট দেবেন। তাই তার মন কোনো অতি সাধারণ জিনিসের কথা ভাববে।  কিন্তু পরে যখন আপনি তাকে গিফট দিবেন, দেখবেন গিফট যেরকমই হোকনা কেন সে অনেক খুশি হবে। 

©সোর্স: ইন্টারনেট

আরো দেখুন:

Post a Comment

Write you valuable comments...
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
Grab4LearnIf you have any query, send us... (WhatsApp)
Hello, How can we help you?
Start chat...